বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪২ অপরাহ্ন
মেহেন্দিগঞ্জ প্রতিনিধি॥ মেহেন্দিগঞ্জের উলানিয়া উত্তর ও দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন স্থগিত হলেও থামছেনা সংঘর্ষ। প্রতিনিয়ত রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, বাড়ীঘর ভাংচুরের ঘটনা ঘটেই চলছে।
জানা গেছে
গত ৬ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন মামলাগত জটিলটার কারনে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার উলানিয়া (উত্তর-দক্ষিন) ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন স্থগিত করে আদেশ জারী করেন।
কিন্তু নির্বাচন স্থগিত হলেও প্রতিদ্বন্দী প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের মধ্যে চলমান সংঘর্ষ এখনো থামেনি। দফায় দফায় সুযোগ বুঝে একপক্ষ অপর পক্ষের উপর হামলা চালিয়েই যাচ্ছে। হামলায় এ পর্যন্ত প্রায় শতাধিক আহত হন। এছাড়াও প্রায় ৩০/৪০ টি বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের হামলার ঘটনা ঘটে।
সর্বশেষ মঙ্গলবার সকালে উলানিয়া দক্ষিন ইউনিয়নের পশ্চিম সুলতানী ও যাদুয়া গ্রামে সরকার দলীয় বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী রুমা বেগমের আনারস মার্কার সমর্থকদের হামলার শিকার হন নৌকা প্রার্থীর কর্মীসমর্থকরা। এ সময় ১৯টি বসত ঘর ও ২টি দোকান ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
এতে প্রায় ২০ জন আহত হওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে। আহতদের মধ্যে আলমগীর মাঝি (৪০) ও মিরাজ সিকদার (২২) এর অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্ররেণ করা হয়েছে।
মেহেন্দিগঞ্জ থানা ওসি মোঃ আবিদুুুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এই ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে বলে গণমাধ্যমকে জানান, মেহেন্দিগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবিদুর রহমান।
নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র জমাদানের দিন রাত থেকেই দক্ষিন উলানিয়নে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হলে স্থানীয় লালগঞ্জ বাজারে পূর্ব সুলতানি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটি অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করা হয়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ শান্তি-শৃঙ্খলার জন্য পুলিশ ক্যাম্প স্থাপিত হলেও পুলিশের কিছু অসৎ কর্মকর্তাদের নিরব ভুমিকার কারনে বার বার এই হামলার ঘটনাগুলি ঘটছে।
প্রতিটি হামলার ঘটনার সময় পুলিশ উপস্থিত থাকলেও তাৎক্ষনিক তারা কোন কার্যকরি পদক্ষেপ না নিয়ে ঘটনার পরবর্তীতে আহত এবং ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেন।
এ রকম একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে বেশ কয়েকবার ক্যাম্পের ফোর্সসহ দায়িত্বে থাকা অফিসার পরিবর্তন করলেও সংঘর্ষের ঘটনা বেড়েই চলছে।
Leave a Reply